করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গণপরিবহনে যাত্রী চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এই বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকরিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। আর সব ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনার টিকার সনদ থাকতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত এবং শনাক্তের হার বাড়ছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেওয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।
গেল মাসের প্রথম দিকেও করোনা শনাক্তের হার ১ শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষ দিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত ৫০০–এর ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা ২ হাজার ২৩১ জনে পৌঁছেছে। আর পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাস্ক পরা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময়ে জনসমাগমে লাগাম টানারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের নামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মোট ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
সুত্রঃ প্রথম আলো
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।